একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিষ্টার বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা
• ভূমিকা : একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিষ্টার বাংলা বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্য 10 নম্বরের একটি প্রবন্ধ রচনা করতে হবে। পরীক্ষায় দুটি প্রবন্ধ রচনা দেওয়া থাকবে-একটি মানস-মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা করো এবং আর একটি বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা করো (যে কোনো একটি প্রবন্ধ রচনা করতে হবে)। আমি এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা নীচে উত্তর সহ বলে দিলাম -
• প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো।
1. বিতর্কের বিষয় : বিজ্ঞাপন এ যুগে অপরিহার্য।
2. বিতর্কের বিষয়: 'দূরদর্শন মানবজীবনকে সমস্যা জর্জরিত করে তুলেছে'।
3. বিতর্কের বিষয়: 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বর্জন করা উচিত'।
4. বিতর্কের বিষয় : 'বিজ্ঞানের এই যুগে সাহিত্য একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়'।
5. বিতর্কের বিষয় : 'ইংরেজি মাধ্যম স্কুলই দেশের ভবিষ্যৎ'।
6. বিতর্কের বিষয় : 'পরীক্ষার প্রাপ্য নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়'।
7. বিতর্কের বিষয় : 'পাশ ফেল তুলে দেওয়া এক অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত'।
-----------------------------------------------------
বিতর্কের বিষয় : 'বিজ্ঞাপন এ যুগে অপরিহার্য'।
পক্ষে: একবিংশ শতাব্দীর যুগে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অপরিহার্য। কেননা নিজেকে বিজ্ঞাপিত করতে পারলে এযুগে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব। তাই নিজের কর্মক্ষমতা ও উৎপাদিত পণ্যের বিজ্ঞাপন করা উচিত। বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে কত মানুষের বুজি-রোজগার জড়িয়ে রয়েছে। ব্যবসার একটি বিশেষ কৌশল মানুষকে বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ করা। ব্যবসা, চাকরি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমাজসেবামূলক ও জনসচেতনতার কাজে বিজ্ঞাপনের ভূমিকা অপরিহার্য।
উত্তর। বিপক্ষে: একবিংশ শতাব্দীর যুগে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব অপরিহার্য। একথা মানতেই হবে, তবে এর কিছু অতিবাচক দিক আছে। কারন নিজের ঢাক নিজে বাজাতে ভালোই পারে। বিজ্ঞাপনে যাব দেখানো হয় তা ১০০% কী সত্যিই নাকি এর পেছনে ব কার্যকরী হয়। আজকাল দেখা যায় মিথ্যা প্রচার, অন্যকে ছোটো করা এসব মাঝেমাঝেই বিজ্ঞাপনদাতাদের আদালতের দরজায় পৌঁছে দেয়। আর বিজ্ঞাপনের মিথ্যা ঘোষণায় ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাতো প্রায়ই ঘটে থাকে। বিজ্ঞাপন যে-কোনো পণ্যের বিক্রয়মূল্য বাড়িয়ে দেয়। তার ভার বহন করতে হয় ক্রেতাকেই। তা ছাড়া ক্রেতাদের, বিশেষত যুবসমাজকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন এমনভাবে তৈরি হয় যেখানে শালীনতার সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। যুবমনে এইসব বিজ্ঞাপন শুধু বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে তাই নয়, সামাজিক শৃঙ্খলাও এর ফলে নষ্ট হতে পারে। বিজ্ঞাপনে বিশেষত বহুভাষায় তৈরি বিজ্ঞাপনগুলিতে প্রায়শই অনুবাদের কারণে এমন ভাষার ব্যবহার করা হয় যা মানুষের ভাষাবোধকেই বিপন্ন করে তোলে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভাষা-শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে, এরকম যারা দাবি করেন তারা এর বিপর্যয়ের দিকটিও যেন নজরে রাখেন। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সমাজসচেতনতার প্রসার বা শিক্ষা- সংস্কৃতির প্রচারের কথা যাঁরা বলেন তাঁরা মনে রাখেন না এই বিজ্ঞাপনের প্রলোভনেই চিটফান্ডে টাকা রেখে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতারিত হন বা জ্যোতিষের খপ্পরে সর্বস্বান্ত হন কতজন। ভালোর পাশে এই খারাপ দিকগুলোও দেখুন। হোর্ডিং-এর বিজ্ঞাপন শহরের আকাশকে ঢেকে দিয়ে যে দৃশ্যদূষণ ঘটাচ্ছে আপনারা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে তার প্রতিবাদ করুন- এটুকু আশা কি আমরা করতে পারি না। কর্পোরেট দুনিয়া বা শিল্প সাম্রাজ্যের হয়ে ওকালতি করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, উচিত হল সুন্দর সমাজ আগামী প্রজন্মকে উপহার দেওয়া।
-----------------------------------------------------
বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা Class 11 | Class 11 2nd Semester বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা
আরো পড়ুন : একাদশ শ্রেণীর প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2025
-----------------------------------------------------
বিতর্কের বিষয়: 'দূরদর্শন মানবজীবনকে সমস্যা জর্জরিত করে তুলেছে'।
পক্ষে: একবিংশ শতাব্দীর যুগে দূরদর্শনের অপকারিতা নিয়ে অনেক মানুষ সোচ্চার। দূরদর্শন মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। কারন এখন অনেক মানুষ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আকর্ষনে দূরদর্শনের সামনে বসে সময় নষ্ট করে। এর ফলে তাদের নিত্যকর্মে বিঘ্ন ঘটে। তবে আজকের দিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দূরদর্শনের ফলে পড়াশোনার কথা ভুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মানুষ ভুলতে বসেছে সামাজিক আদান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা। এর কোনো কোনো অনুষ্ঠানে থাকে নৈতিক অধঃপতনের বীজ। বর্তমান সমাজে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অনেকেই দূরদর্শনকে দায়ী মনে করেন। তাই বলা যায় দূরদর্শন মানবজীবনে যতই আনন্দের আয়োজন করে থাক, তার কুপ্রভাব কোনো অংশে কম নয়।
উত্তর। বিপক্ষে: একবিংশ শতাব্দীর যুগে দূরদর্শনের অপকারিতা নিয়ে যাঁরা সোচ্চার হন তাঁরা কী তাদের জীবন থেকে দূরদর্শনকে বাদ দিতে পেরেছেন। এর উত্তর পরিষ্কার-না, তারা কেউ বাদ দিতে পারেনি। কারণ 2025 সালে এসে দূরদর্শনহীন ভাবা অসম্ভব। আমাদের জীবনের সঙ্গে দূরদর্শন অপ্রোতভাবে জড়িত। দূরদর্শন আজ আমাদের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। একই যন্ত্রে দেখার আনন্দ এবং শোনার অনুভূতি দূরদর্শনকে বিশিষ্ট করেছে। একে বেতার ও চলচ্চিত্রের যোগফলও বলা যেতে পারে। শুধু অবসর বিনোদনেই নয়, শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে, সংবাদ পরিবেশনে, বিশ্বপরিচিতি লাভে এ দোসরহীন। দূরদর্শন অক্ষম, বিত্তহীন, নিরক্ষরের নিত্যসাথি। সংবাদপত্র পাঠে অক্ষম নিরক্ষর মানুষকে সে বিশ্ববার্তা সরবরাহ করে, খেলা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে অক্ষম মানুষকে সে তা পরিবেশন করে, থিয়েটার-হলে দেখতে অক্ষম সিনেমাপ্রেমীকে সে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে। তা ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলি, সামাজিক সমস্যা, ভাষাশিক্ষা-প্রভৃতি তথ্যমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে দূরদর্শন। মানুষের মধ্যে সুস্থ, রুচিশীল, সাংস্কৃতিক চেতনা গড়ে তোলে দূরদর্শন। দূরদর্শনই কুসংস্কার, প্রাদেশিকতা এবং সাম্প্রদায়িকতার পথ থেকে সাধারণ মানুষকে নিয়ে যায় মানবতার সরণিতে। এমন এক শক্তিশালী গণমাধ্যমের দ্বারা যদি কোনো মানুষ নেশাগ্রস্ত হয়ে যান, তবে তার দায় তো দূরদর্শনের নয়। নিজের দায়িত্ব-কর্মকে শিকেয় তুলে যদি কেউ দূরদর্শনে বুঁদ হয়ে থাকেন, তবে তাকে আমরা কি দূরদর্শনের কুপ্রভাব বলতে পারি? তামাক বা অ্যালকোহলের মতো ক্ষতিকারক নেশার সঙ্গে দূরদর্শন দেখার নেশাকে গুলিয়ে ফেললে কি চলে? তা ছাড়া, অত্যধিক টিভি দেখা যে মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ কমিয়ে দিচ্ছে, সেটা অবশ্য অস্বীকার করা যায় না।
এক্ষেত্রেও কিন্তু দায় সেই দর্শকের, দূরদর্শনের নয়। একজন ব্যক্তিমানুষ কীভাবে তার অবসর বিনোদন করবেন, সেটা সম্পূর্ণই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি যদি দূরদর্শনের দ্বারা নেশাগ্রস্ত হন, নিত্যকর্মের বিঘ্ন ঘটান বা অসামাজিক হয়ে পড়েন, তবে তা দূরদর্শনের কুপ্রভাব নয়, বরং দূরদর্শন ব্যবহারকারীর কু-অভ্যাস। অবশ্য দূরদর্শনের বেশ কিছু অনুষ্ঠান মানবমনে হিংসা-যৌনতার বিষ যে ছড়ায়, তা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। দূরদর্শনকে যে দায়িত্ব ও কর্তব্যে সচেতন হতে হবে আরও, সে-বিষয়ে আমরাও অবশ্য একমত। এজন্য সরকার এবং সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে দূরদর্শনকে কলুষমুক্ত করতে। তা বলে কখনোই আমরা বলব না যে, দূরদর্শন পরিত্যাজ্য, দূরদর্শনের কুপ্রভাবই শুধু মানবজীবনে বলবৎ হয়েছে। বরং দূরদর্শন হল মানবজীবনে এক বড়ো আশীর্বাদ।
-----------------------------------------------------
class 11 bitarkamulak prabandha rachana | class 11 prabandha rachana
-----------------------------------------------------
বিতর্কের বিষয় : 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বর্জন করা উচিত'।
পক্ষে: 'রাজনীতি' শব্দটি যখন সমাজজীবনে দিশাহীন হয়ে উঠছে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির বিষয়টি নতুনভাবে বিবেচনার অপেক্ষা রাখে। একথা ঠিক যে পরাধীন ভারতবর্ষে তো বটেই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-আন্দোলন দেশকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। কিন্তু আজকের ছাত্র- আন্দোলন, অন্তত আমাদের পশ্চিমবাংলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ দিশাহীন। একের পর এক কলেজে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তাকে বিশৃঙ্খলা না বলে নৈরাজ্য বলাই শ্রেয়। এক-একটা কলেজ নির্বাচন যেন সাধারণ নির্বাচনকেও হার মানিয়ে দেয়। সেই গণ্ডগোলের উত্তাপ শুধু কলেজে নয়, কলেজের বাইরেও পৌঁছে যায়। অসংখ্য রক্তপাত, মৃত্যু ইত্যাদির সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন জাগে, এ রাজনীতির কী প্রয়োজন। একদিন রাজনীতি যুবসমাজকে পথ দেখাত। আজ সেই রাজনীতিই তাদের। বিপথগামী করছে। চারপাশে যখন বেকারত্ব, চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, তখন প্রয়োজন পড়াশোনায় আরও মনোনিবেশ করা। প্রতিটা মুহূর্তে যখন আমাদের তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সেখানে সাময়িক পদস্খলন ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। ইতিহাসকে আঁকড়ে না থেকে এই কঠোর বাস্তবকে মেনে নেওয়া অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে গেলেও রাজনীতির বর্জন প্রয়োজন। স্লোগান, পোস্টার, ঘেরাও, ভাঙচুর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশের সহায়ক হতে পারে না। আমরা সকলেই। চাইব সেখানে এসবের বদলে সেমিনার হোক, সংস্কৃতির চর্চা হোক। তৃতীয়ত, রাজনীতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। সমাজজীবনেও এর প্রভাব সুদুরপ্রসারী হতে বাধ্য। দলীয় রাজনীতির দৃষ্টিতে মানুষকে বিচার করা অত্যন্ত সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক। চতুর্থত, রাজনীতিতে ইদানীং যেভাবে পেশিশক্তির প্রকাশ ঘটছে তারও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে ছাত্ররাজনীতিতে। মূল্যবোধের অভাব ঘটছে। শিক্ষকদের শ্রধা করা, সিনিয়রদের মেনে চলা-এসব অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে রাজনীতির তাণ্ডবে। পঞ্চমত, ছাত্ররাজনীতিকে হাতিয়ার করে দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটছে শিক্ষালানে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিপর্যন্ত হয়, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। যে ছাত্রছাত্রীরা কলেজে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র পড়াশোনা উদ্দেশ্যেই আসে, তাদের সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে হবে। আন্দোলন বা দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা অনুচিত শুধু নয়, অন্যায়ও বটে। রাজনীতি থাকুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে। শিক্ষাশেষে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তাতে যোগ দিক ছাত্ররা।
উত্তর। বিপক্ষে: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বিষয়ে বন্ধুদের কথা শুনতে শুনতে মনে হল মোটরগাড়ি চড়লে দুর্ঘটনা হতে পারে ভেবে তারা হেঁটে যাওয়াকেই যুক্তিসংগত মনে করছেন।
১. রাজনীতি আদর্শহীন, তাই ছাত্রদের রাজনীতি করা উচিত নয়-এটা কোনো যুক্তিই হতে পারে না। রাজনীতি অনুশীলনের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়। সুতরাং রাজনীতিকে শুদ্ধ করার দায় সকলের। আর শিক্ষিত, সচেতন মানুষের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে ছাত্ররাই সুচারুরূপে সে দায়িত্ব নিতে পারে।
২. ছাত্ররা যদি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হয়, তাহলে নেতৃত্ব চলে যাবে শিক্ষাহীন, বুচিহীন কিছু মানুষের হাতে। সমাজজীবনে এর প্রভাব সুদুরপ্রসারী হতে বাধ্য।
৩. রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে কেরিয়ার গড়ার যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তা এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুবিধাবাদী মানসিকতারই ফসল। এই মানসিকতাই আজকের সমাজজীবনের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে, রাজনীতি নয়।
৪. বলা হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে সেমিনারের জন্য, সংস্কৃতিচর্চার জন্য, স্লোগানের জন্য নয়। খুব ভালো কথা, কিন্তু ছাত্ররা রাজনীতি না করলেও শিক্ষাকর্মী বা শিক্ষকদের নিজস্ব সংগঠনের কী হবে। সে তো তাঁদের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেখানে কি স্লোগানের বদলে শান্তিস্তোত্র উচ্চারিত হবে। আর রাজনীতি থাকলে সেমিনার হবে না, সংস্কৃতিচর্চা হবে না- এমনটাই বা মনে করার কী কারণ? রাজনীতিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেমিনারের বিষয় কী হবে-মলল গ্রহে কবিতার সম্ভাবনা।' আর সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে রাজনীতির নিবিড যোগকে অস্বীকারের কোনো সুযোগই তো নেই। রবিঠাকুর-নজরুল- সুকান্তের বহু লেখারই তো তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়। ছেলেরা রাজনীতি করলে সংস্কৃতিচর্চা বিপন্ন হবে, এমন সিদ্ধান্তে কী ভাবে উপনীত হওয়া যায়?
৫. রাজনীতি নাকি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। হয়তো একথা ঠিক। কিন্তু বিপরীত মতের এই প্রকাশই তো গণতন্ত্র। এর মধ্যে দিয়েই তো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একে আটকে রাখলেও বাইরের সমাজজীবনে একে ঠেকাবেন কী করে?
৬. ছাত্ররাজনীতিতে যদি পেশিশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটে, তাহলে দোষটা রাজনীতির, না যাঁরা তাকে নষ্ট করছে তাদের? ভেবে দেখবেন আপনারা। আর রাজনীতি করলেই মূল্যবোধের অভাব হবে, এটাও অতিসরলীকরণ হয়ে গেল। কেরিয়ারসর্বস্ব যে মেধাবী ছাত্রটি বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য অধ্যাপকদের প্রতি অতিভক্তি প্রদর্শন করে, তার সেই সুযোগসন্ধানী মনোভাবেও তো মূল্যবোধের অভাব ঘটে।
-----------------------------------------------------
একাদশ শ্রেণী বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা | ক্লাস 11 বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা
আরো পড়ুন : ক্লাস-11 প্রবন্ধ রচনা
-----------------------------------------------------
লেখকের শেষ মতামত :
উপরের সমস্ত বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর একটি প্রতিবেদনে বলে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই দ্বিতীয় পর্বে বাকি বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা গুলির উত্তর বলে দেব। আমাদের এই লেখাগুলো যদি আপনাদের কাজে লাগে তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। লেখাগুলো আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই Comment বক্সে Comment করে জানাবেন।
আরো পড়ুন | Link |
---|---|
1. ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | Click Here |
2. একাদশ শ্রেণির নতুন ইংরেজি সিলেবাস | Click Here |
4. ছুটি - গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Click Here |
• আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে Follow করো -
SOCIAL MEDIA | FOLLOW |
---|---|
Whatsapp Group | Click Here |
Telegram | Click Here |
• Comment করো :
Thank You !
Too much helpful for many students . I feel pleasure to appreciate your job . Keep it up sir .
উত্তরমুছুনPash fel firiye ana uchit
উত্তরমুছুন