Type Here to Get Search Results !

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

html body submit korechi WB Semester Ads-1

বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস | Class 11 Semester 2

একাদশ শ্রেণির - বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস

• ভূমিকা : WBCHSE Board এর নতুন নিয়ম অনুসারে একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে মোট 5 নম্বর আসবে। পরীক্ষায় এখান থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রশ্নের ধরন হবে গোটা 5 নম্বরের। আজকের এই প্রতিবেদনে একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিষ্টার বাংলা পরীক্ষার জন্য এই অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ বলে দিবো। এখান থেকে পরীক্ষায় 100% পড়বে। চলো শুরু করি-
  • আগের পর্বে ৫ টি প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছি - Click Here

বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস  Class 11 Semester 2
বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস | Class 11 Semester 2 

• এই বছর বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে ক্লাস-11 দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলি হল -
১/ বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো। 
২/ বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো। 
৩/  বাংলা কাব্যে জীবনানন্দের অবদান সম্পর্কে লেখ। 
৪/ বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান আলোচনা করো।  
৫/ বাংলা গদ্যসাহিত্য চর্চায় প্যারীচাঁদ মিত্রের কৃতিত্ব আলোচনা করো?
৬/ বাংলা নাটকের ইতিহাসে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান আলোচনা করো। 
৭/  বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করো। 
৮/ বাংলা গীতিকবিতার ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান আলোচনা করো। 
৯/ বাংলা নাটকে ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদের কৃতিত্ব আলোচনা করো।
১০/ বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
১১/ বাংলা উপন্যাসে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। 
১২/ বাংলা গদ্য সাহিত্য বিকাশে রামমোহর রায়ের অবদান আলোচনা করো। 
১৩/ বাংলা কবিতায় ঈশ্বর গুপ্তের কৃতিত্ব আলোচনা করো। 
১৪/ বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান আলোচনা করো।
-----------------------------------------------------
Class 11 Semester 2 বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস
-----------------------------------------------------
৬/ বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে গিরিশচন্দ্র রায়ের অবদান আলোচনা করো । 
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের বাংলা নাট্যমঞ্চের শ্রেষ্ঠ নট ও নাট্যকার হলেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪-১৯২২)। একাধারে নট এবং নাট্যকার হিসাবে বিশ্বে তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। পূর্ণাঙ্গ নাটক, প্রহসন আর গীতিনাট্য সব মিলিয়ে তাঁর নাটককে বেশ কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি। যেমন-
(ক) গীতিনাট্য: তাঁর 'আগমনী', 'অকালবোধন', 'দোললীলা', 'মোহিনী', 'প্রতিমা' প্রভৃতি নাটকগুলি শুধুমাত্র দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছিলেন।
(খ) পৌরাণিক ও ভক্তিমূলক নাটক: তিনি পৌরাণিক নাটকগুলিতে খুব বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। পৌরাণিক নাটক এবং মহাপুরুষের জীবন অবলম্বনে ভক্তিমূলক নাটক হল-'চৈতন্যলীলা', 'বিশ্বমঙ্গল' ইত্যাদি। 'অভিমন্যুবধ', 'জনা', 'পান্ডব', 'রামের বনবাস', 'রাবণ বধ' প্রভৃতি পৌরাণিক নাটকগুলিতে ভাবতীয় পুরাণের নৈতিক আদর্শ আর ভক্তিনিষ্ঠাকে অতি দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন। 
(গ) ঐতিহাসিক নাটক: তাঁর ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে 'সিরাজদ্দৌলা', 'মীরকাশিম', 'ছত্রপতি শিবাজী', 'অশোক' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এই সব নাটকগুলিতে গিরিশচন্দ্রের স্বদেশপ্রেম ও ঐতিহাসিক বোধ লক্ষ্য করা যায়।
(ঘ) সামাজিক নাটক: বাঙালী মধ্যবিত্ত সংসারের ভদ্র পারিবারিক ও গার্হস্থ্য সমস্যাগুলিকে করুণরসের দ্বারা মূর্ত তুলে ধরেছেন -'প্রফুল্ল', 'হারানিধি', 'বলিদান', 'শান্তি' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য নাটকগুলিতে।
(ঙ) প্রহসন: তাঁর 'ভোটমঙ্গল', 'হীরার ফুল', 'বেল্লিক বাজার' প্রভৃতি প্রহসনগুলিও তাঁর যুগে বেশ অভিনয় হয়েছিল।
উপসংহার : আলোচ্য আলোচনার পর বলতে পারি, তাঁর জনপ্রিয় নাটকগুলিতে চরিত্র-সৃষ্টি আর ভক্তিরসের নিপুণ মিশ্রন রয়েছে। তাই সঙ্গীত আর সংলাপে জীবন্ত হয়ে উঠেছে নাটকগুলি। সুতরাং বাংলা নাট্য রচনায় গিরিশচন্দ্র ঘোষ এর অবদান অনস্বীকার্য।
-----------------------------------------------------
বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস Class 11

৭/ বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করো। 
• বাংলা উপন্যাস রচনায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব নির্নয় করো।
অথবা
• বাংলা কথা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র বিশেষত্ব আলোচনা করো।
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস রচনায় একজন উল্লেখযোগ্য ঔপন্যাসিক হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৮-১৯৩৮)। তাঁর উপন্যাসগুলিতে অসহায় দুর্বল তথাকথিত সমাজ পতিতাদের দুঃখদুর্গতি ও নানা সমস্যার ছবি এঁকেছেন সহানুভূতি ও গভীর মমতার সঙ্গে। তার উপন্যাসগুলিকে প্রধানত তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করতে পারি -
(ক) পারিবারিক উপন্যাস: মধ্যবিত্তশ্রেণির পারিবারিক জীবনচিত্র শরৎচন্দ্রের পারিবারিক উপন্যাসের পটভূমি। এই শ্রেণির উপন্যাস হল 'বড়দিদি', 'দেবদাস', 'দত্তা', 'চন্দ্রনাথ' প্রভৃতি। পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখ, স্নেহপ্রেমের সম্পর্ক, একান্নবর্তী পরিবারের সমস্যা, অনাত্মজের প্রতি মাতৃসম বাৎসল্যের প্রকাশ এইসব উপন্যাসের বক্তব্য বিষয়। 
(খ) সামাজিক উপন্যাস: শরৎচন্দ্রের সামাজিক উপন্যাসে সামাজিক সমস্যা সমাজের নিষ্ঠুরতা ও যুক্তিহীন বিধিবিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সমাজ-বহির্ভূত নিষিদ্ধ প্রেম নিয়ে সমস্যাদি আলোচ্য প্রতিপাদ্য বিষয়। এই শ্রেণির উপন্যাস 'শ্রীকান্ত', 'চরিত্রহীন', 'পল্লীসমাজ', 'অরক্ষণীয়া', 'শেষ প্রশ্ন', 'শেষের পরিচয়' ইত্যাদি।
(গ) দেশাত্মবোধক উপন্যাস: শরৎচন্দ্রের দেশাত্মবোধক উপন্যাস একটিই, তা হল 'পথের দাবী'। এতে বিপ্লববাদের রূপটি সুন্দরভাবে চিত্রিত।
উপসংহার :  আলোচ্য আলোচনার পর বলতে পারি, শরৎচন্দ্র দেশপ্রেম ও এবং অবহেলিত জনগণের প্রতি অকৃত্রিম অনুরাগ এবং বাঙালির দুঃখ-দারিদ্র্য ও মর্মবেদনাকে চোখের জলে, প্রেমের মাধুর্যে এবং জীবনদর্শনের গভীরতায় রূপায়ন করেছে। অতএব বাংলা উপন্যাসে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
-----------------------------------------------------
Class 11 বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস
-----------------------------------------------------
৮/ বাংলা গীতিকবিতার ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান আলোচনা করো। 
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের আধুনিক গীতিকাব্যের প্রথম সচেতন কবি ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪ খ্রি:)। তিনি মহাকাব্য ও আখ্যানকাব্যের যুগে গীতিকবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আধুনিক বাংলা কাব্যে গীতিকবিতা রচনার দ্বারটি উদঘাটিত করেন।
বাংলা গীতিকবিতায় তাঁর অবদান : তাঁর 'নিসর্গসন্দর্শন' কাব্যে জড় প্রকৃতিতে ব্যক্তিসত্তা আরোপ করে সচেতন কবিপ্রানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যে নবতম কাব্যশৈলীর উদ্ভাবন সম্ভাবিত হয়, তা গীতিকবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই এই কাব্যগ্রন্থটি গীতিকবিতার ইতিহাসে একটি স্মরণগ্রন্থ। তার 'বঙ্গসুন্দরী' কাব্যটির মধ্যে কবি সংসারে নারীকে বহুমূর্তির সৌন্দর্য আঁধারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কখনও সে জননী কখনও সে জায়া কখনও কন্যা, ভগিনী, বিচিত্রমূর্তিধারিণী এই নারীর স্নেহ-মায়া-মমতা-পূর্ণ রূপ বাংলা কাব্যে বিহারীলালের নিজস্ব অবদান। তবে বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ কাব্যকীর্তি 'সারদামঙ্গল'। কবির সৌন্দর্যচেতনা,গীতিপ্রভাব ও প্রকৃতিসন্দর্শন পূর্ন পরিনতি লাভ করেছে 'সারদামঙ্গল'-এ। 'সারদামঙ্গল' এর একই ভাবচেতনা ও গীতিস্বভাবের অনুবর্তন লক্ষিত হয় তার 'সাধের আসন' কাব্যগ্রন্থে। 
  কৃত্রিম সভ্যতা, কৃত্রিম ললিতকলা, কৃত্রিম সমাজসংস্কারের হট্টগোলে কবির চিত্ত অশান্ত হয়ে উঠেছিল। তাই কবি কল্পনার জগতে, শহর থেকে দূরে পল্লীগ্রামের শ্যামল ছায়াবনের ভেতর ভেতরে অবাধ স্বাধীনতা মধ্যে আপনার বাঁশীটি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন:
" কভুভাবি পল্লীগ্রামে যাই, 
নামধাম সকল লুকাই, 
চাষীদের মাঝে রয়ে 
চাষীদের মতো হয়ে
চাষীদের সঙ্গেতে বেড়াই।"
বিহারীলালের এই প্রকৃতি-ব্যাকুলতাই, এই অকৃত্রিম প্রকৃতিপ্রেমই সে-যুগের অন্যান্য কবিদের কাছ থেকে তাঁকে পৃথক করে রেখেছে। 
উপসংহার : আলোচ্য আলোচনার পর বলতে পারি, সামগ্রিকভাবে তাঁর রচনা শিল্পত্ব লাভ করেনি। তাঁর মধ্যে গীতিকাব্যের যে নব সম্ভাবনা মুকুলিত হয়েছিল, পরবর্তীকালে তাঁর শিষ্যদের মধ্যে তাই পুষ্পিত হয়ে উঠেছিল। তবুও আধুনিক গীতিকাব্যের পুরোচারি কবি হিসেবে তিনি চিরদিনই শ্রদ্ধা লাভ করবেন। তাই বাংলা গীতিকবিতার ধারায় বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান অতুলনীয়।  
-----------------------------------------------------
একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিষ্টার বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস

৯/ বাংলা নাটকে ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদের কৃতিত্ব আলোচনা করো।
অথবা
ক্ষীরোদপ্রসাদের নাট্য প্রতিভার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : বাংলা নাটকের ইতিহাসে একজন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার হলেন ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ (১৮৬৩-১৯২৭)। তবে তিনি নাটকের সাহিত্যগুণের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন নাটকের মঞ্চসাফল্যের দিকে।
বাংলা নাটকে ক্ষীরোদপ্রসাদের অবদান : তিনি পেশাদার রঙ্গমঞ্জের নাট্যকার হিসেবে প্রায় চল্লিশখানার বেশি বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন রসের নাটক রচনা বারেন। তাঁর নাটকগুলিকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন : 
(ক) পৌরাণিক নাটক: এই নাটকগুলিকেই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ নাটকের পর্যায়ে ফেলা যায়। তিনি পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে রচনা করেন 'সাবিত্রী', 'উলূপী', 'ভীষ্ম', 'মন্দাকিনী' ইত্যাদি।
(খ) গীতিনাট্যঃ তিনি গীতিনাট্য রচনার মধ্য দিয়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তাঁর 'আলিবাবা', 'জ্বলিয়া', 'আলাদিন', 'বাদশাজাদ্দী' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য গীতিনাট্য। আরব্য রজনি-র কাহিনি অবলম্বনে রচিত নৃত্য-গীত সংবলিত 'আলিবাবা' নাটকটি তাঁকে জনপ্রিয় করেছিল।
(গ) ঐতিহাসিক নাটক: তিনি গীতিনৃত্যবহুল নাটিকা ও ঐতিহাসিক নাটকের জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন। 'নন্দকুমার', 'বঙ্গের প্রতাপাদিত্য', 'আলমগীর' প্রভৃতি নাটকে অভিনেতব্য নাটকের সার্থক দৃষ্টান্ত আছে।
(ঘ) ইতিহাস-আশ্রিত কাল্পনিক নাটক: তিনি ইতিহাসের আশ্রয়ে বেশ কয়েকটি কাল্পনিক নাটক রচনা করেন। সেগুলি হল- 'রঘুবীর', 'খাঁজাহান','আহেরিয়া' ইত্যাদি।
উপসংহার : আলোচনার পর বলতে পারি, বাংলা নাটকের ইতিহাসে ক্ষীরোদপ্রসাদের জনপ্রিয়তার মূল কারন তাঁর গীতিনাটক গুলি। আর সেকালের প্রথিতযশা নটনটীরা তাঁর নাটকে অভিনয় করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। সুতরাং বাংলা নাটকে ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের অবদান অনস্বীকার্য।
-----------------------------------------------------
ক্লাস 11 বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতির ইতিহাস

১০/  বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা
• "কেবল উপন্যাসেই নহে প্রবন্ধ সাহিত্যেও বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভা তুলনারহিত"- আলোচনা করো।
• বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের কৃতিত্ব নির্ণয় করো।
উত্তর : বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য প্রাবন্ধিক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধগুলিকে মোটামুটি চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়-
(ক) সমাজভাবনা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ক: 'সাম্য' প্রবন্ধগ্রন্থে বঙ্গদেশের কৃষকদের দুরবস্থা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অন্যান্য নানা সামাজিক সমস্যার আলোচনা স্থান পেয়েছে। 'বিজ্ঞানরহস্য গ্রন্থের আশ্চর্য সৌরোৎপাত', 'ধুলা', 'গগন পর্যটন'  প্রভৃতি প্রবন্ধের নাম শুনলেই এর বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা গড়ে ওঠে।
(খ) সাহিত্য সমালোচনামূলক: 'বিবিধ প্রবন্ধ' (১ম এবং ২য়), 'বিবিধ সমালোচনা' বঙ্কিমের দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ। বাংলা সাহিত্যে তিনি তুলনামূলক সাহিত্য সমালোচনা রীতির সূচনা করেন।
(গ) ধর্ম ও দর্শন বিষয়ক: 'ধর্মতত্ত্ব' (১৮৮৮ খ্রি.) গ্রন্থে প্রকাশ পেয়েছে বঙ্কিমের অনুশীলনতত্ত্বের ধারণা। বঙ্কিমের কৃষ্ণচরিত্র গ্রন্থে কৃষ্ণ হল দেশ ও জাতির সংকটময় অবস্থায় জাতির এক আদর্শ নেতা।
(ঘ) ব্যঙ্গাত্মক ও হাস্যরসাত্মক রচনা: বঙ্কিমের এই শ্রেণির প্রবন্ধগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'লোকরহস্য', 'কমলাকান্তের দপ্তর' এবং ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত 'মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত'।
উপসংহার : আলোচনার পর বলতে পারি, ঔপন্যাসিক হিসেবে বঙ্কিমের মুখ্য পরিচয় হলেও প্রবন্ধকার হিসেবেও খ্যাতিমান। রচনাগুনে প্রবন্ধ যে সাহিত্য গুনান্বিত হতে পারে তিনি তা দেখিয়েছেন। কৌতুকরসাত্মক, বিজ্ঞানবিষয়ক, চিন্তাপ্রধান ও সাহিত্যধর্মী প্রবন্ধ বঙ্কিমের লেখনীতে রচিত হয়েছে। সুতরাং বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান কতখানি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
-----------------------------------------------------
বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস Class 11 Semester 2 | Class 11 bangla shilpo sahitya sanskriti itiha |

• উপসংহার :
বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে সমস্ত প্রশ্নগুলির উত্তর একটি পর্বে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রথম পর্বে অনেক গুলি প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছি। আজ দ্বিতীয় পর্বে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর বলে দিলাম এবং বাকি প্রশ্ন গুলোর উত্তর তৃতীয় পর্বে বলে দিবো । আর যারা আমাদের অফলাইন কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করছো, তাদেরকে Free PDF দেওয়া হবে। আমাদের এই প্রতিবেদনগুলো যদি আপনাদের কাজে লাগে তবেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।

আরো পড়ুন Link
1. ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু          Click Here
2. ছুটি - গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর          Click Here
4. ভাবসম্মিলন কবিতা - বিদ্যাপতি              Click Here
5. একাদশ শ্রেণির নতুন বাংলা প্রশ্নপত্র           Click Here

• আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে Follow করো -
SOCIAL MEDIA FOLLOW
Whatsapp Group              Click Here
Telegram             Click Here
 
• Comment করো :
(contact-form)
শুভেচ্ছা সহ,
WB Semester Team

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

WB Semester Ads-2

WB Semester Ads-3