Type Here to Get Search Results !

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

html body submit korechi WB Semester Ads-1

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন ও উত্তর 2025 | Madhyamik Bengali RACHANA Suggestion 2025

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2025

• ভূমিকা :
তোমরা মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাংলা প্রশ্নপত্রের শেষে ১১ নম্বর দাগে প্রতিবছর বাংলা পরীক্ষায় চারটি প্রবন্ধ রচনা আসে। তার মধ্যে তোমাকে যেকোন একটি প্রবন্ধ রচনা করতে হবে। এই প্রবন্ধ রচনা করলেই তুমি ১০ নম্বর পাবে। তাই আমি এই বছর মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য যে প্রবন্ধ রচনা গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি বলে দিবো এবং প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর বলে দিবো। চলো শুরু করি -
madhyamik bengali suggestion 2025

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2025

• এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা গুলি হল -
1 .বাংলা উৎসব
2. বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য
3. বৃক্ষরোপণ / একটি গাছ একটি প্রাণ
4. বিজ্ঞান ও কুসংস্কার / বিজ্ঞানের আশীর্বাদ না অভিশাপ / বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল / বিজ্ঞানের ভালো মন্দ
5. দূষণ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা / পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা / পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
6. বিশ্ব উষ্ণায়ন
7. চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা / খেলাধুলা ও ছাত্রসমাজ
8. একটি গাছের আত্মকথা
9. তোমার জীবনের লক্ষ্য
10 . তোমার দেখা একটি মেলা / একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
-------------------------------------------------

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2025 | মাধ্যমিক বাংলা রচনা সাজেশন 2025 pdf

1. বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য

(এই প্রবন্ধ রচনাটি মাধ্যমিক - 2023 সালের পরীক্ষায় এসেছিল।)
• ভূমিকা :
আমাদের এক বাঙালি কবি প্রিয় জন্মভূমির সৌন্দর্য দেখে অভিভূত ও মোহিত হয়ে লিখে গেছেন, "সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।”-এখানে লিখিত একটি শব্দও আতিশয়োক্তি নয়। আমাদের এই বাংলার ঋতুচক্র ঋতুতে ঋতুতে আমাদের বঙ্গমাতাকে যে নতুন নতুন পোশাকে সাজিয়ে দেয়, তা সকল দেশের সকল রানির ঐশ্বর্যকে সহজেই হার মানায়। এমন পরিবর্তিত ঐশ্বর্য কখনও কি কোনো দেশ পেয়েছে?
(ক) বাংলার ঋতু :
বাংলাদেশে ছ-টি ঋতু পালাক্রমে একের-পর-এক এসে বাংলার প্রকৃতিকে পত্রে-পুষ্পে-পল্লবে সাজিয়ে দিয়ে যায়। পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলেই ঘটে ঋতুপরিবর্তন। এই বঙ্গে প্রকৃতির রমণীয় আঙিনায় ষড়ঋতু যেন ময়ূরের মতো নৃত্য করে চলে। এমন ঋতুবৈচিত্র্য কোনো দেশে নেই। তাই কবি বলেছেন- "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।" 
(খ) গ্রীষ্মের দাবদাহ :
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ হল গ্রীষ্মকাল। নদী-নালা-খাল-বিল তখন জলশূন্য হয়ে শুকিয়ে যায়। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরে; দেখা দেয় কালবৈশাখী। কালো মেঘ আশীর্বাদী বৃষ্টির ধারা হয়ে নেমে আসে তাপিত ধরণির বুকে।
(গ) বর্ষার আবির্ভাব :
গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা। কালো মেঘের পাখায় ভর করে অফুরন্ত বৃষ্টির ধারা নিয়ে, সবুজের সম্ভার নিয়ে হয় বর্ষার আবির্ভাব। আষাঢ়-শ্রাবণকে বর্ষাকাল-বলা হলেও, বস্তুত ভাদ্রমাস পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। বর্ষায় নবীন জলধারার স্পর্শে প্রকৃতি সবুজ পোশাকে সাজে। বর্ষা কৃষির উপযোগী ঋতু। তাই বর্ষা সমাগমে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে। বর্ষায় নদীনালা-খাল-বিল জলে ভরে যায়। শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে বঙ্গভূমি।
(ঘ) মেঘমুক্ত শরৎকাল :
বর্ষা যায়, আসে শরৎ- সৌন্দর্যের রানি।ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকালু। আকাশ থাকে মেঘমুক্ত। শুভ্র বলাকার মতো সাদা মেঘের ভেলা ভেসে যায় আকাশ গাঙে। সোনালি-মিঠে রোদে চারদিক ঝলমল করে। এসময় শিউলি, কাশ, জুঁই প্রভৃতি ফুল ফোটে। দোয়েলু-শ্যামার গানে বাতাস মুখরিত হয়। শরৎকালে বাংলার শ্রেষ্ঠ জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়।
(ঙ) হেমন্তকাল :
শরতের পরে অল্প শীতের আমেজ নিয়ে আসে হেমন্ত। কার্তিক-অগ্রহায়ণ হেমন্ত ঋতু। নতুন অন্ন ঘরে আনবার আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য 'নবান্ন' উৎসবের আয়োজন করা হয়। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো হেমন্ত ঋতুর বড়ো আকর্ষণ।
(চ) রুক্ষ-শুষ্ক শীতকাল :
হেমন্তের হাত ধরে আসে শীতকাল। পৌষ-মাঘ শীত ঋতু। শীত এলে গাছের পাতা ঝরে যায়। প্রকৃতি তখন রিক্ততার শিকার হয়ে পড়ে। বঙ্গে শীত ঋতুতে খাদ্যের সমারোহ দেখা যায়। এই মরশুমের বিশেষ আকর্ষণ পিঠেপুলি-পায়েস আর নলেন গুড়ের সন্দেশ।
(ছ) ঋতুরাজ বসন্ত :
শীতের অবসানে বসন্তের আবির্ভাব। বসন্ত হল ঋতুরাজ। ফাল্গুন-চৈত্র এই দুই মাস হল বসন্তকাল। বসন্তের আবির্ভাবে বৃক্ষলতা নব কিশলয়ে সুশোভিত হয়। বসন্তসখা কোকিলের কুহুতানে চতুর্দিক মুখরিত হয়। বসন্তে রাধাকৃষ্ণের দোললীলার স্মরণে হোলি খেলার আসর জমে ওঠে।
• উপসংহার :
বাংলার মতো পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এত স্পষ্টভাবে এই ঋতুবৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় না। বাঙালির হৃদয়কে প্রভাবিত করে এই ঋতুবৈচিত্র্য। প্রতিটি ঋতু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয় বাঙালির কাছে। প্রতিটি ঋতুই নিয়ে আসে কোনো না কোনো উৎসব। এই উৎসবগুলি প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে একাত্মবোধ প্রদান করে।
-----------------------------------------

মাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা pdf | মাধ্যমিক বাংলা রচনা 2024

2. চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা

ভূমিকা :
ছাত্রজীবনে চরিত্র গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই পাঠ্যপুস্তক ও শরীরচর্চা এই দুইয়ের সমবায়ই শিক্ষার্থীর দেহ মন আত্মার বিকাশ সাধন হয়। মানসিক ক্লান্ত থেকে খেলাধুলা যেমন আনন্দের ধারা বহন করে আনে তেমনি খেলাধুলার মধ্য দিয়েই ছাত্রসমাজের শৃঙ্খলা ও ঐক্যবদ্ধ শিক্ষা গড়ে ওঠে। তাই খেলাধুলা চরিত্র গঠনে কতটা প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(ক) স্বাস্থ্যই সম্পদ :
"জীবনমুখী শিক্ষা হল সেইটাই, যেখানে মানসিক উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে দেহচর্চাকেও মিলাইয়া মিশাইয়া দেওয়া হয়।" রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতপক্ষে দেহ ও মনের যুগল সম্মিলনে শিক্ষা পূর্ণতা পায়। উপনিষদেও বলা হয়েছে- 'বলহীনের দ্বারা আত্মালাভ হয় না।' জ্ঞান সাধনার তপশ্চর্যায় দৈহিক কর্মশক্তির একান্ত প্রয়োজন। 'Health is wealth', এই সুবচনকে জীবনে কার্যকরী করতে হলে, স্বাস্থ্য গঠন অপরিহার্য। দরকার খেলাধুলার। 
(খ) সেকালের শরীরচর্চা :
প্রাচীনকালের আশ্রমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্রদের অধ্যয়নই ছিল একমাত্র তপস্যা। তবু তাঁদের দেহচর্চা, যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম, ব্রাহ্ম মুহূর্তে শয্যাত্যাগ, আশ্রমের কার্যাবলী অনুসরণ ইত্যাদি করতে হত, কেবলমাত্র দেহকে সুস্থ-সবল ও নির্মল মানসিকতা বজায় রাখার জন্য। একালে বিবেকানন্দও খেলাধুলার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
(গ) খেলাধুলা থেকে শিক্ষা :
শিক্ষা ও খেলাধুলা একে অন্যের পরিপূরক। খেলাধুলায় দৈহিক উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে মানসিক উৎকর্ষও সাধিত হয়। বুগ্ন ও জীর্ণ দেহ লেখাপড়া ও কাজকর্মের পক্ষে অনুপযোগী। ফলে মনোযোগ সহকারে কোনো কাজই করা যায় না। কাজে বিরক্তি, অনীহা ও আলস্য দেখা দেয়। তাই দেহ-মন সুস্থ রেখে বিদ্যার্জনের পথ সুগম করার জন্যই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। দেহ ও মনের যুগলবন্দিতে গড়ে উঠে মানব চরিত্রের ইমারত। তাই, খেলাধুলা শিক্ষার এক প্রয়োজনীয় অঙ্গ।
(ঘ) মানবিক গুণের বিকাশ : 
শিশুদের চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম। শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলাপরায়ণতা, একাগ্রতা, দৃঢ়তা খেলাধুলার মাধ্যমেই জাগরিত হয়। শিশু জীবনের জয়পরাজয়কে খেলোয়াড়ি মনোভাবে গ্রহণ করতে শেখে। খেলাধুলা নেতৃত্ব শক্তির সঙ্গে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি-র মতো সংঘবদ্ধ খেলার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার শিক্ষা তাদের বাস্তব সামাজিক জীবনে ব্যাপক ও উপযোগী প্রভাব বিস্তার করে। এক কথায় তার ব্যক্তিত্বের বহুমুখী বিকাশ ঘটে। বিবেকানন্দ বলেছেন- "খেলার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব পায় উজ্জ্বলতা, হয়ে ওঠে সে নিয়মানুবর্তী, মানবতাবোধে হয় উদ্ভাসিত।”
(ঙ) প্রতিযোগী মনের সৃষ্টি :
খেলাধুলা ব্যক্তিত্ব বিকাশেরও মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের সৃষ্টিশীলতা। ফলে খেলাধুলা একাধারে সৃষ্টি ও আনন্দের মাধ্যম। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগী মনের মুক্তি ঘটে, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের সৃষ্টি হয় এবং নেতৃত্বলাভের আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়।
(চ) খেলাধুলা ও শরীরচর্চার নানাদিক :
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি শিক্ষাব্যবস্থায় খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিক্ষা ও শরীরের সমন্বয়ের জন্য নানাবিধ শরীর শিক্ষা কর্মসূচিতে গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যায়াম চর্চা, যোগব্যায়াম, ব্রতচারী, লাঠিখেলা প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, লেখাপড়া ত্যাগ করে শুধুমাত্র খেলাধুলা করা ঠিক নয়।
• উপসংহার :
মানুষের নৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে, যেমন শিক্ষার প্রয়োজন তেমনি শারীরিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। খেলাধুলা মানুষের জীবিকা শক্তির অন্যতম উৎস। খেলাধুলার মাধ্যমে উজ্জীবিত প্রাণ মন নতুন করে জাগ্রত হয়, তাই চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
----------------------------------------------

madhyamik prabandha rachana | মাধ্যমিক বাংলা রচনা সাজেশন 2025 pdf

3. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার

(এই প্রবন্ধ রচনাটি মাধ্যমিক - 2023 সালের পরীক্ষায় এসেছিল।)
• ভূমিকা :
গাছপালা,পশুপাখি,বন্যপ্রাণী, মাছ, আলো, শব্দ, উত্তাপ, মাটি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি মানুষের তৈরি ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কলকারখানা - এসবকেই এক কথায় আমরা পরিবেশ বলি আধুনিক যন্ত্রপাতির যুগে এবং নগর কেন্দ্রিক সভ্যতার অভিঘাতে এই পরিবেশ ক্রমে ক্রমে দূষিত হচ্ছে তাই পরিবেশ নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে এবং পরিবেশ এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। পরিবেশ হল চারপাশের জাগতিক পরিস্থিতি। বিভিন্ন কারণে এই পরিবেশ দূষিত হয়। যেমন -
(ক) পরিবেশ দূষণ :
বর্তমান বিশ্বে নানাবিধ মারণাস্ত্র, নানা ধরনের 'পারমাণবিক পরীক্ষা ও বিস্ফোরণের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ও তেজস্ক্রিয় কণা', শিল্প-কলকারখানায় জ্বালানো গ্যাস ও আবর্জনা, যানবাহনের জ্বালানি দ্বারা বায়ু বিষাক্ত ও দূষিত হয়ে পড়েছে।
(খ) জল দুষণ :
আজকের দিনে জল দূষণ এক ভয়ংকর সমস্যা। কলকারখানার দূষিত বর্জ্য পদার্থ দ্বারা পানীয় জল সরবরাহের উৎসগুলো দূষিত হচ্ছে। এর ফলে মানুষ ও জলচর প্রাণীর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে।
(গ) ভূমি দূষণ :
কৃষি ও শিল্পবিপ্লবই হল ভূমি দূষণের প্রধান কারণ। চাষের জমিতে নানারকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগের ফলে ভূমি দূষিত হচ্ছে। শিল্প-কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ ও শহর এলাকার আবর্জনার স্তূপ পচে মাটি দূষিত হচ্ছে। যার ফলে মানুষের নানা রকম রোগ হচ্ছে
(ঘ) শব্দ দূষণ :
অতি যান্ত্রিকতার ফলে শব্দ আজ মানবজীবনে নিদারুণ সংকট সৃষ্টি করে চলেছে। কলকারখানার শব্দ, যন্ত্রদানবের বিচিত্র হর্ণ, বিমানের শব্দ, বাজি-পটকার আওয়াজ-মারাত্মক আকার ধারণ করে শব্দ দূষণ পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। সড়ক ও শহরের পথে যানবাহনের বিকট আওয়াজে অনেকে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে।
(ঙ) মনস্তাত্ত্বিক দুষণ :
মনস্তাত্ত্বিক দূষণ হল আর এক জাতীয় দূষণ।সামাজিক অপসংস্কৃতি, বেকারত্ব, অতি পাশ্চাত্ত্য ভাবধারাপ্রীতি, সিনেমা, কুরুচিকর পত্রিকা,পুস্তক প্রভৃতি যুবক-যুবতীদের এবং বিশেষভাবে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক অধঃপতন ঘটেছে। এর ফলে তাদের মধ্যে কুরুচি ও অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
(চ) দূষণের প্রতিকার ও ছাত্রদের ভূমিকা :
নানান ধরনের পরিবেশ দূষণের হাত থেকে মুক্তির জন্য আজ  বিশ্বের সুস্থ-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের সচেষ্ট হতে হবে। সংবাদপত্র, টি. ভি., রেডিও প্রভৃতি গণমাধ্যমগুলির মাধ্যমে প্রতিকারের প্রচার বাড়াতে হবে এবং দুষণের প্রতিকার ও ছাত্রছাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে। জল দূষণ, মাটি দূষণ রোধ করার জন্য সরকারি আইন কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে। 
(ছ) বিশ্বপরিবেশ দিবস :
রাষ্ট্রসংঘ সার্বিক দূষণ প্রতিকারের জন্য এগিয়ে এসেছে। প্রতি বছর জনগণকে পরিবেশ সচেতন করবার জন্য ৫ই জুন দিনটি 'বিশ্ব-পরিবেশ দিবস' হিসেবে পালিত হচ্ছে।
উপসংহার :
আমাদের পরিবেশ যদি মালিন্যমুক্ত হয়, তবে পৃথিবীর এই সভ্যতাও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে। এর জন্য চাই সর্বজনীন শিক্ষা ও সচেতনতা।

-------------------------------------------

Madhyamik prabandha rachana pdf download | madhyamik suggestion 2025 bengali

• শেষ কথা :
সমস্ত প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর একটি পর্বে লিখে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই দ্বিতীয় পর্বে বাকি প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর লিখে দিয়েছি। Menu Option এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারো । অথবা নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারো। তবে সেখানের প্রবন্ধ রচনা গুলি Class 11 ও Class 10 সব ছেলেমেয়েদের কাজে লাগবে।

• আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে Follow করো -
SOCIAL MEDIA FOLLOW
Whatsapp Group              Click Here
Whatsapp Channel             Click Here
Telegram             Click Here

                                          Thank You !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

WB Semester Ads-2

WB Semester Ads-3